আব্দুল আউয়াল, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি: রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আজ সম্পূর্ণ হলো।

২৮ ফেব্রুয়ারি সোকসাস এর প্রথম মাসিক সভায় বার্ষিক বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিষয়টি উল্লেখ হয়। উক্ত সভায় সোকসাস এর সভাপতি ইয়াসিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এর নির্দেশে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

উক্ত কমিটির দায়িত্বে এই বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। উক্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন রাসেল মাহমুদ। ৯ মার্চ সোকসাস এর এক অফিসিয়াল নোটিশের মাধ্যমে বনভোজনের সকল বিষয় জানিয়ে দেওয়া হয়। বার্ষিক বনভোজনের জন্য আহ্বায়ক কমিটি বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁও এর স্থান সমূহ নির্ধারণ করেন। এরমধ্যে সোনারগাঁও জাদুঘর ও পানাম নগর উল্লেখযোগ্য।

সে অনুযায়ী আজ সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে গুলিস্তান থেকে সোনারগাঁয়ে উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়। সেখানে বাঙালির ঐতিহ্যের অনেক নির্দেশন দেখতে পাই। যা বর্তমানে গ্রামীণ সমাজ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। আমাদের প্রথম সাংস্কৃতিক খেলা শুরু হয়, এতে গান, নিত্য, একক অভিনয়, আঞ্চলিক ভাষা, বক্তব্য, কৌতুক, ডায়লগ সহ নানা রকম আয়োজন ছিল।

বিকেল ৪ টা দিকে পানামাসিটিতে ইভেন্টগুলো শুরু হয়। তারমধ্যে- লক্ষ্যভেদ, বল বদল, সাদা লাল, মোরগ লড়াই ইত্যাদি খেলা ছিল। প্রতিটি খেলাই অত্যন্ত সুন্দর ও মনোমুগ্ধ করেছিল। উক্ত খেলায় অনেকে অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে লক্ষ্যভেদ খেলায় দুইজন জয়লাভ করেন, বল বদল বল খেলায় তিনজন, সাদা লাল খেলায় তিনজন এবং মোরগ লড়াই খেলায় একজন জয়লাভ করেন। তাদের সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়। এই সবগুলো খেলার মধ্যে সাদা লাল খেলাটি অত্যন্ত চমৎকার ছিল।

সবগুলো খেলা শেষে সভাপতি ইয়াসিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আহ্বায়ক রাসেল মাহমুদ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এরপর, আমরা সোনারগাঁও পেস ক্লাবের সাথে মতবিনিময় করি। উক্ত মতো বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সোকসাস এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ বাকি সদস্যবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ আরো নেতৃবৃন্দ। সেখানে দেশের নামিদামি অনেক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

আজকের এই বার্ষিক বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে সোকসাস এর সভাপতি ইয়াছিন মোল্লা র কাছে তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন- আলহামদুলিল্লাহ সাংবাদিক সমিতি গঠন হওয়ার পর এটা আমাদের প্রথম বনভোজন। প্রথম বনভোজন হিসাবে আমি বলবো খুবই সুন্দর একটা আয়োজন ছিল।

আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি বনভোজন উদযাপন কমিটির আহবায়ক রাসেল মাহমুদকে এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য! আশা করি প্রতি বছর আমরা এর আয়োজন করতে পারবো! এই সমস্ত বনভোজনে আসলে আমাদের সদস্যরা দেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারবে। তাই আগামীতে তাদেরও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন- বিভিন্ন সমস্যার কারণে যারা বনভোজনে যেতে পারেনি তাদের জন্য খুব খারাপ লেগেছে। সবাই থাকলে আরো ভালো একটা দিন উপভোগ করতে পারতাম। সামনের দিনে সবাই কে আনন্দ বনভোজন সাংগঠনিক কার্যক্রম সকল কিছুতে সবার অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আহবায়ক রাসেল মাহমুদ বলেন-আজ‌কের বন‌ভোজন‌টি ছি‌লো সোহরাওয়ার্দী ক‌লেজ সাংবা‌দিক স‌মি‌তির প্রথম সব থে‌কে বড় আ‌য়োজন যার দা‌য়ি‌ত্বে ছিলাম আ‌মি আহ্বায়ক সহ আমার টিম তাই আমা‌দের অবস্থান থে‌কে আমরা সর্বচ্চ চেস্টা ক‌রে‌ছি সুন্দর একটা দিন,ই‌ভেন্ট,সময় ও বন‌ভোজন উপহার ‌দেওয়ার জন‌্য ।

আ‌মি জা‌নি না আমরা কতটুকু পে‌রে‌ছি কিন্তু আজ‌কের দিনটা আমার কা‌ছে স্মরণীয় হ‌য়ে থাক‌বে এক সা‌থে আমার প্রিয় সহকর্মীদের সা‌থে সারাটা দিন ভিন্নভা‌বে কাটা‌নোর জন‌্য।